বিশেষ প্রতিবেদন : পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে
২১ দিন দেশবাসীকে বাড়ির বাইরে না বেরনোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদী। বুধবার মধ্যরাত থেকে গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে
যদি আপনার শরীরেও হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের
মতো উপসর্গ লক্ষ্য করেন, তাহলে কী করবেন? আসুন জেনে নিন এ বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞ
(মেডিসিন) চিকিৎসকেরা–
রাস্তা-ঘাট শুনশান! পাবলিক
ট্রান্সপোর্ট রাস্তায় প্রায় নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে কেউ নিজের মধ্যে যদি
করোনাভাইরাসের মতো জ্বর, হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ লক্ষ্য করেন,
তাহলে কি এসএসকেএম বা বেলেঘাটা আইডি-তে ছুটবেন?
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ হল, পরীক্ষা করানোর জন্য আপাতত সরকারি হাসপাতালেই যেতে হবে। তবে, সরকারি
হাসপাতালে এখন রোগীদের লম্বা লাইন। ফলে, পরীক্ষা করাতে অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে। আর
আপনার মধ্যে যদি সত্যিই করোনাভাইরাস থেকে থাকে এতে সংক্রমণ আরও বাড়বে। তাই
প্রথামিক ভাবে বাড়ির কাছে থাকা বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে চিকিত্সককে
দেখিয়ে নিন। নিজে একান্তই যেতে না পারলে ওই হাসপাতাল বা ল্যাবের হেল্পলাইনে ফোন
করে আপনার বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে অনুরোধ জানান। যদি হাসপাতালে
যেতে হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক পরে যাবেন। অপেক্ষাকৃত কম ভিড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা
করবেন।
এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ হল, সেল্ফ কোয়ারান্টাইনে থাকুন।
পরিবারের সদস্যদের থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে
বাড়ির বয়স্কদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি। পরিষ্কার জামা-কাপড় পরুন, নাক,
মুখ রুমালে বা মাস্কে ঢেকে রাখুন। চেষ্টা করুন টিশু ব্যবহার করতে আর সাবান বা
স্যনিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত রাখতে।
চিকিৎসকেরা জানান, বছরের এই
সময়টায় এমনিতেই জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। তাই চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল
খেতে পারেন। আর প্রচুর পরিমাণে জল খান আর বিশ্রাম নিন। এই সময় নিজেকে সুস্থ রাখার
এটাই অন্যতম উপায়।
Post a comment